বাংলাদেশ ডেস্ক : | বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে অভিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে যাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বৈধ প্রমাণ হিসেবে গ্রিনকার্ড আছে, তাদেরও চাপে রাখছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গ্রিনকার্ডধারীদের নতুন করে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়েছে, যারা বৈধ অভিবাসী আছেন, তারা ‘অতিথির’মতো আচরণ করবেন। নয়তো আপনাদেরও নিজ দেশে ফেরৎ পাঠানো হবে। এছাড়া সবার ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এমন সতর্কতার পর বৈধ অভিবাসীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে গত সপ্তাহে একটি পোস্টে দেশটির নাগরিক এবং অভিবাসী সেবা (ইউএসসিআইএস) এক সতর্কবার্তায় বলেছে, গ্রিনকার্ড থাকলেই যুক্তরাষ্ট্রে নির্বিঘ্নে থাকা যাবে- এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
যদি গ্রিনকার্ডধারী কাউকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করা হয়, তাহলে তাদের বৈধ নথি বাতিল করা হবে। এই সতর্কতার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন বার্তা দিয়েছে, তারা অভিবাসী সংক্রান্ত আইন কার্যকর আরো বিস্তার করবে। এরমধ্যে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র অবৈধ অভিবাসীদেরই লক্ষ্য করা হবে না। সঙ্গে বৈধ অভিবাসীরাও আক্রান্ত হবে। ইতিমধ্যে বৈধ অভিবাসীদের অনলাইন কার্যক্রম, তাদের মতাদর্শ ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া বৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরৎ পাঠানো এবং অনেককে যুক্তরাষ্ট্রে আর প্রবেশ করতে না দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এসব কার্যক্রম বাক স্বাধীনতা, নজরদারি এবং বৈধ অভিবাসীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা প্রদানের বিষয়টি প্রশ্ন তুলেছে।
Posted ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh